উপসর্গ: যে সব বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি, ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে
কিন্তু আলাদা ভাবে কন অর্থ প্রকাশ করে না তাদের কে উপসর্গ বলে।
যেমনঃ নির+ উত্তর = নিরুত্তর । যদিও এখানে
নির(তৎসম উপসর্গ), নেই অর্থের দ্যোতনা করে
কিন্তু তবুও এর কোন বিশেষ অর্থ নেই।
তাই বলা হয় “উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থ দ্যোতকতা আছে”
উপসর্গ তিন
প্রকারঃ
- বাংলা
- তৎসম
- বিদেশী
তৎসম উপসর্গ তৎসম শব্দের আগে; দেশি উপসর্গ
দেশি শব্দের আগে বসে; কিন্তু বিদেশি উপসর্গ বিভিন্ন শব্দের আগে বসতে পারে।
যেমনঃ বে একটি ফারসি উপসর্গ কিন্তু তার সাথে
নিচের আরবি, ফারসি, বাংলা, ইংরাজি, হিন্দি শব্দ যুক্ত হয়ে নিচের শব্দ গুলা গঠন
করে।
বে+মালুম(আরবি)
বে+শরম(ফারসি)
বে + হাত (বাংলা)
বে + হেড (ইংরাজি)
বে + ধড়ক (হিন্দি)
ভাষাচার্য সুনীতি কুমার চট্টপাধ্যায় তাঁর
“ভাষা- প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ”-এ দেখিয়েছেন যে উপসর্গের মত আর কিছু অব্যয়
শব্দের আগে ব্যাবহার হয়, এদের কে গতি বলা হয়। যেমনঃ আবিঃ, তিরঃ, পুরঃ, প্রাদুঃ,
বহিঃ, অলম্, সাক্ষাত।
সু, স, বি, নি, আ; এগুলা যখন বাংলা শব্দের
পূর্বে(সুদিন, সুনাম) ব্যাবহার হয় তখন বাংলা উপসর্গ এবং যখন তৎসম
শব্দের(সুকন্ঠ,সুনীল) পূর্বে বসে তখন তৎসম উপসর্গ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
উপসর্গ যোগে একটি শব্দ থেকে আর একটি শব্দ
গঠন হলে তাদের পদের কোন পরিবরতন হয় না।
যেমনঃ ছায়া(বিশেষ্য)-> উপছায়া( বিশেষ্য);
ভাত(বিশেষন, অর্থ- আলকিত বা দিপ্ত)->
প্রভাত(বিশেষন, অর্থ- প্রকৃষ্ট রূপে আলকিত হওয়া)
কিন্তু প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দের পদ
পরিবর্তন হয়।
যেমনঃ সাধু(বিশেষন)+তা(প্রত্যয়)=সাধুতা(বিশেষ্য)
চল্(ক্রিয়া)+অন্ত(প্রত্যয়)=চলন্ত(বিশেষন)
কিছু কিছু শব্দ আছে যেগুলার সামনে একাধিক
উপসর্গ বসতে পারে।
যেমনঃ বি+কার=বিকার (১ টি )
বি+অব+হার=ব্যবহার (২ টি )
অতি+আ+চার=অত্যাচার (৩ টি )
সম্+অভি+আ+হার=সমভিব্যাহার(সঙ্গ,সাহচর্য)(৪ টি)
0 comments:
Post a Comment